একা ভ্রমনে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস-some hacks of solo travelling



"একা একা ট্রাভেল করবে!"
" ধুর! সারাদিন একা একা থাকা যায়? তাও আবার দূরে কোথাও ঘুরতে গিয়ে?"
"একা একা ট্রাভেলিং এ গেলে আড্ডা দিবে কার সাথে। ট্রাভেলিং তো মজার জন্যই। তাহলে একা একা কি রকম থাকবে?"
"একা একা গিয়ে বিপদে পড়লে সামলাবে কিভাবে?"


একা ভ্রমন বা সলো ট্রাভেলিং এর কথা উঠলেই অনেকের এই রকম কথার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সবথেকে ভালো হচ্ছে একা ভ্রমন করা। আপনি যদি সবসময় বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করে থাকেন তাহলে একবার হলেও আপনার একা ভ্রমন করা প্রয়োজন। এর অনেক উপকারিতা আছে। তারমধ্যে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে নিজেকে জানা যায়। আপনি যখনি একা একা ট্রাভেল করবেন, কোনো ভালো যায়গায় যাবেন তখন সম্পূর্ণ সময়টা নিজেকে দিবেন। এতে নিজেকে জানার পরিধি বাড়ে৷ এখানে আপনিই আপনার মালিক। আপনার যা খেতে ভালো লাগে খাবেন। যা ইচ্ছা তা করবেন। নিজে ভুল করলে অন্যকে কৈফিয়ত দিতে হবে না।

তারপর আসে একা লাগার বিষয়টা। কে বলেছে একা ট্রাভেল করলে সবসময় একাই থাকতে হয়? আপনি যদি কোনো হোস্টেলে উঠেন তখন আপনার আর একা একা লাগবে না। হয়তো একটা যায়গায় আপনি একা একা গেলেন। কিন্তু হোস্টেল থেকে এতো বড় গ্যাং নিয়ে বের হলেন যে নিজেই অবাক হয়ে গেলেন। আসলেই তাই! আপনার পরিচিত সকল বন্ধুদের নিয়ে তো সবসময় আড্ডা দেন। একবার অপরিচিত মানুষদের নিয়ে ঘুরেই দেখুন না। এতে নিজের অনেক স্কিল বাড়বে। কোনো সংকোচিতা থাকলে তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। যেহেতু অনেক মানুষের সাথে আপনার দেখা সাক্ষাৎ হবে ফলে কোন এলাকার মানুষজন কেমন তাও জানা হয়ে যাবে। আর রইলো বাকি নিরাপত্তার কথা? আপনি কি হলফ করে বলতে পারেন ৪-৫ মিলে ভ্রমনে গেলে বিপদে পড়বেন না? হয়তো সলো ট্রাভেলারদের উপর খারাপ লোকেদের নজর বেশি থাকে কিন্তু একটু ট্রিকস খাটিয়ে চললে এসব কোনো বিষয়ই না। নিচে আমি নিরাপত্তার বিষয় নিয়েই কথা বলবো। আর বাইচান্স যদি বিপদে পড়েই যান তাহলে ঘাবড়ে যাবেন না। বিপদকে স্মার্টলি হ্যান্ডেল করা বিপদে পড়তে পড়তেই শিখে যাবেন। ঐ যে কথায় বলে না? "বারো ঘাটের জল খাওয়া মাছ!" আপনিও বিপদে পড়তে পড়তে একসময় পোড় খাওয়া ট্রাভেলার হয়ে যাবেন। আর অভিজ্ঞতা এমন এক জিনিস যেটা অন্যের থেকে পাওয়া যায় না। নিজে থেকেই শিখতে হয়। কাজেই এইসব ফালতু জিনিষের কথা ভেবে নিজের আনন্দ মাটি করবেন না। আপনার সাথে যাওয়ার কোনো মানুষ পাচ্ছেন না? একাই বেড়িয়ে পড়ুন পৃথিবী জয় করতে৷ কে বলতে পারে হয়তো একদিন আপনাকে দেখে অন্যরা বলতে পারে "অমুক সাহেবের অভিজ্ঞতার ধারে কাছেও যাওয়া যাবে না। সে পোড় খাওয়া ট্রাভেলার "
তবে ব্যাকপ্যাক নিয়ে বেড়িয়ে পড়ার আগে আপনার জানতে হবে কিছু টিপস। যা আপনার ভ্রমনকে আরো আরামদায়ক করতে সহায়ক হবে। এরকমই কিছু টিপস আজ আমি শেয়ার করছি।

আগে ভ্রমন পরিকল্পনা করুন

কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে কি কি দেখবেন, কোথায় থাকবেন? কতো খরচ করবেন? লোকাল ট্রান্সপোর্ট হিসেবে কি ব্যাবহার করবেন? সেসব জিনিস আগেই ঠিক করে নেন। শুনে হয়তো ভাবছেন এসব আবার কোনো বিষয় হলো নাকি। কিন্তু এইগুলোই আসল বিষয়। যেমন আপনি কলকাতা গেলে কম খরচে মেট্রোতে করে সারা কলকাতা দেখতে পারবেন। আবার মানালিতে গেলে লোকাল সাইটসিইং এর জন্য ট্যাক্সি লাগবে। ভারতের গোয়াতে ও ইন্দোনেশিয়ার বালিতে উভয় যায়গাই স্কুটার বেশি চলে ও সস্তা। কিন্তু গোয়াতে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে পুলিশ ধরে যা বালিতে হয় না। কোনো যায়গায় হোস্টেল এর থেকেও হোটেল সস্তা। এইসব ছোটখাট জিনিস আগে থেকে ঠিক করে না কোথাও বেড়াতে চলে গেলেন ও পড়ে অতিরিক্ত পয়সা খরচ করা লাগলো এটাতো আপনি চাইবেন না তাই না? tripadvisor.com এ গিয়ে তাদের ফোরামে এসব ছোটখাট জিনিসের সমাধান পেয়ে যাবেন।

কাগজপত্র গুছিয়ে সাবধানে রাখুনঃ

কোনো জায়গায় যাওয়ার পূর্বে আপনার যা যা কাগজপত্র লাগবে তা একটি প্লাস্টিকের ফাইলে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখবেন যাতে সময়মতো পাওয়া যায়। দেশের বাইরে যাওয়ার সময় সবসময় নিজের সাথে কয়েক কপি ছবি, পাসপোর্ট এর ফটোকপি, ভিসার ফটোকপি রাখবেন।

বাজেটঃ

কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময় বাজেটের উপর অনেককিছু নির্ভর করে। তাই আপনি বাজেট ট্রাভেলার হলে, আগে বাজেট ঠিক করে তারপর অন্যান্য খরচ ঠিক করবেন। কোথায় থাকবেন, কি খাবেন এসব জিনিস আগে ঠিক করা থাকলে অনেক সুবিধা হয়। সলো ট্রাভেলিং এর ক্ষেত্রে হোটেলে না থাকাই শ্রেয়। হোটেলে থাকতে যেমন খরচ বেশি তেমনি সঙ্গী সাথী পাওয়া যায় না। তাই এক্ষেত্রে হোটেল এড়িয়ে চলাই ভালো। ভালো অপশন হচ্ছেঃ হোস্টেল, AirBnB, কাউচসার্ফিং ইত্যাদি। এর ফলে খরচ অনেকটাই সেফ হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ বিদেশ ভ্রমনে ফ্রিতে থাকার টিপস

হাতে পাওয়া সুযোগকে কখনো ফেলে দিবেন নাঃ

কখনোই সুযোগ হারাতে নেই। তাই কোনো সুযোগ আপনার কাছে এলে সেটা ফেলে দিবেন না। মনে করুন আপনার তাজমহল দেখার খুব ইচ্ছে। তো একদিন আগ্রা যেতে হলো একটা দরকারী কাজে। তখন কাজ শেষ করে ভাবলেন যে, "এখন তো অনেক টায়ার্ড। আরেকবার এসে নাহয় তাজমহল দেখবো"। কিন্তু পরে কোনো সময় আর আসার সময় হলো না। তাই কখনোই কোনো সুযোগ হারাবেন না।  

সবরকম ট্রাভেল ডকুমেন্ট সাথে রাখুনঃ

ধরুন আপনি মালেয়শিয়া ট্রিপ শেষ করে ঢাকা ফিরছেন। মাঝপথে পুলিশ আপনাকে এয়ারপোর্টে আটকে দিলো। তাদের সন্দেহ আপনি জঙ্গী। তখন কি করবেন? আপনার সমস্ত ট্রাভেল ডকুমেন্ট যেমন হোটেল বুকিং পেপার, রিটার্ন টিকেট বা এই সমস্ত সব কাগজপত্র। এগুলোই আপনাকে বাচিঁয়ে দিতে পারে। তাই ভ্রমণ শেষ করে নিজের আবাসে ফিরে না আসা পর্যন্ত ট্রাভেল সম্পর্কিত সকল পেপারস, টিকেট, পাসপোর্ট, টাকা পয়সা নিজের কাছে সুরক্ষিত রাখা দরকার। মনে রাখতে হবে একটা ৫ টাকার লোকাল বাস বা ট্রেনের টিকেটও অনেক কাজে লাগতে পারে।

ব্যবহারঃ

ভদ্র ও বিনয়ী হতে শিখুন। একা ভ্রমনে গেলে আপনার ভদ্র ব্যবহারই আপনাকে অনেক উটকো ঝামেলা হতে দূরে রাখবে। মনে রাখবেন সবাই কিন্তু তার নিজের এলাকায় বাঘ। তাই নিজে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়বেন না।

ভ্রমনের সময় ট্রানজিট টাইম বেশি রাখাঃ

ধরুন আপনি মানালি গেলেন। তো আসার পথে দিল্লি হয়ে কলকাতায় আসতে হবে। আপনি এমন ভাবে টিকিট কাটলেন যেন দিল্লিতে ফিরেই ৩ ঘন্টা পর আপনার কলকাতার ট্রেন। কিন্তু রাস্তায় জ্যামের কারনে বাস ৩ ঘন্টা পর পৌঁছায় ও আপনি ট্রেন মিস করলেন। তখন কি হবে ভেবেছেন? তাই সবসময় ট্রানজিট টাইম ৬ ঘন্টা বা তার বেশি রাখবেন। মবে রাখবেন শুধু ট্রেন নয়। প্লেন ও লেট করে। 

এক্সট্রা টাকা সাথে রাখাঃ

সবসময় এক্সট্রা টাকা সাথে রাখবেন ও ঠেকায় না পড়লে সেখানে হাত দিবেন না। অনেকেই এক্সট্রা টাকা সাথে তো রাখে কিন্তু আসার সময় ভাবে ট্রিপ তো শেষই। এখন কোনো বিপদ হবে না। কিন্তু আসার সময়ই তো হতে পারে বিপদ। এমনও তো হতে পারে আপনার ট্রেন মিস করেছেন। এখন আরেকটা ট্রেনের টিকেট কাটতে হবে বেশি টাকা দিয়ে৷ তাই সাথে এক্সট্রা টাকা রাখবেন ও জরুরী না হলে সেখানে হাত দিবেন না। আর ডেঞ্জার মানির পরিমানটা হতে হবে আপনি যেখানে যাবেন সেখান থেকে বাসায় ফিরে আসতে যত টাকা লাগে ঠিক ততোটা পরিমান।     

হোটেল বুকিং এর সময় আগে টাকা দিবেন নাঃ

কমন টুরিস্ট স্পট গুলো বা যেসব যায়গায় বছরের সব সময়ই প্রচুর টুরিস্ট যাওয়া আসা করে এবং পর্যাপ্ত হোটেল মোটেল আছে, সেসব যায়গায় আগে বুক না করাই ভালো। আর বুক করলেও কিছুতেই আগে পেমেন্ট করা উচিৎ নয়। পরে ছবিতে দেখা হোটেল আর বাস্তবের হোটেল এক না হলে মনটা মাটি হয়ে যাবে।

আত্নবিশ্বাসী হোনঃ

সবসময় নিজের উপর বিশ্বাস রাখবেন। একবার একা  ভ্রমনে বেড়িয়ে গেলে সাহস অনেক বেড়ে যায়। আমাদের দেশে একা ভ্রমনকে নিরুৎসাহিত করা হয় বিধায় আমাদের ভেতর একটু গোমড় কাজ করে৷ কিন্তু নিজের এই অবস্থাটা কাটিয়ে উঠতে শিখে গেলে আপনি অনেক কিছুই পারবেন। তাই নিজের উপর বিশ্বাস হারাবেন না।

সব রকম পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে শিখুনঃ

ভ্রমন নিয়ে আমার একটা খারাপ অভিজ্ঞতার কথা বলি। ছোটবেলার পরিবারের সাথে ভারত ভ্রমনে গিয়েছিলাম। গয়া থেকে কলকাতা আসার জন্য রাজধানী এক্সপ্রেস ট্রেনের ফাস্ট ক্লাস বাবা বুক করে ছিলেন। ট্রেন আসার কথা ছিলো রাত ১১ টায়। কিন্তু সব ট্রেন একসাথে লেট করে ফেলে। স্টেশনে এতো ভীর ছিলো যে বসার যায়গা ছিলো না। কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকাও সম্ভব ছিলো।  বাবা একটা বড় পলিথিন এর শিট কিনে আনলেন। সেখানেই শুয়ে ছিলাম ভোর ৪ টা পর্যন্ত। ভাবুন তো, বিলাসবহুল রাজধানী এক্সপ্রেসের ফার্স্ট ক্লাসের টিকেট কিনেও ট্রেনের প্লাটফর্মে রাত কাটাতে হয়েছে। তাই সবরকম পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়া জরুরী।                 

খুশির ঠেলায় পাগল হয়ে যাবেন নাঃ

যে কোন কিছুতেই অতিরিক্ত আনন্দ, উচ্ছাস, খুসিতে পাগলামি বা উন্মাদ হয়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ না হারানো। তাতে করে নানা রকম ক্ষতি হতে পারে জান, মাল ও মহামুল্যবান সময়ের।
সবকিছুইতেই একটু লাগাম থাকা দরকার, সেটা নিজেদের ভালোর জন্যই।

নিজের নিরাপত্তার বিষয় মাথায় রাখুন

উপরে আলোচনা হয়েছে ভ্রমন পরিকল্পনা নিয়ে। কিন্তু এর সাথে নিরাপত্তার বিষয়টি রাখা জরুরি। 
  • যেখানেই যাবেন সেখানকার লোকালদের সাথে খাপ খাইয়ে নিবেন। এতে আপনার উপর কোনো ছিনতাইকারীর নজর থাকবে না।
  • ফরমাল শার্ট-প্যান্ট না পরে ক্যাজুয়াল কালেকশন পড়ুন।
  • অন্যদের মতোই আচরন করুন। এমন কোনো আচরন করবেন না যা আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে ফুটিয়ে তোলে।
  • নিজের তথ্য কখনো শেয়ার করবেন না। হোটেলে অথবা এজেন্সিতে নিজের তথ্য দেওয়ার হলে সব ঠিক ঠিক দিয়ে দিন। কিন্তু অন্য কারো সাথে নিজের বিষয়ে বিস্তার আলোচনা করবেন না। তবে কারো কাছে নিজের পরিচয় গোপন করবেন না।
  • কেউ কোনো বিষয়ে পরামর্শ বা কিছু বললে শুধু শুনে যাবেন। পরে নিজের বিচার বুদ্ধি দিয়ে বিশ্লেষণ করবেন। মোটকথা সবাইকে বিশ্বাস করবেন আবার কাউকেই বিশ্বাস করবেন না।
  • "ভাই আমি এখানে নতুন এসেছি। অমুক লোকেশনে কিভাবে যাব?" এরকম টাইপ প্রশ্ন করা যাবে না। প্রয়োজনে গুগল ম্যাপ ব্যাবহার করুন।
  • কাউকে বুঝতে দিবেন না আপনি একা আছেন।
  • পাবিলিক ওয়াসরুমে প্রাইভেসি আছে কিনা সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন।
  • সবসময় আপনার আত্নীয় স্বজনদের সাথে কথা বলুন। আপনি কোথায় আছে তা তাদেরকে জানান।  আপনার সম্পূর্ণ ট্যুর প্লান তাদেরকে জানিয়ে রাখা ভালো।
  • নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিবেন। আর কোনো ব্যাপারে দ্বিধায় ভোগলে সেটা থেকে বিরত থাকাই উত্তম।
  • এয়ারপোর্ট থেকে আপনার হোটেলের দূরত্ব জেনে রাখুন৷ এতে ট্যাক্সি ড্রাইভার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে পারবে না।
  • যেকোনো যায়গায় যাওয়ার পূর্বে আগেই ভাড়া ঠিক করে নিন। বাংলাদেশের ভিতর ঘুরতে গেলে সম্ভব হলে কাগজে ভাড়া লিখিয়ে নিবেন। কারনটা কক্সবাজার এ গিয়ে একবার বিচ বাইকে উঠলেই টের পাবেন।
  • রাতে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে ঘুরাঘুরি করবেন না। পাবলিক প্লেসে থাকবেন।
  • রাতে কাউকে হোটেলে নিজের রুমে থাকতে দিতে হলে আগে নিজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, টাকাপয়সা, মোবাইল ও দামি জিনিস সেফ লকারে রেখে দিয়ে তবে ঘুমাবেন। আর সেফ লকার না থাকলে কাউকে রুমে না ঢুকানোই উত্তম।

পরিশেষে বলা যায় একা ভ্রমন মোটেই অনিরাপদ না। আপনি শুধু নিজের বিচার বুদ্ধি একটু খরচ করলেই হলো৷ হাজার হাজার মানুষ একা একাই পৃথিবী চষে বেড়াচ্ছেন। তারা অনেক অভিজ্ঞ ও তাদের অভিজ্ঞতা  ঘুরতে গিয়েই অর্জন করেছেন। কাজেই অন্যের কথায় সলো ট্রাভেলিং এর ইচ্ছা মনের মধ্যে পুশে রাখবেন না। ইচ্ছাটাকে প্রয়োজনমতো উড়তে দিন। দিন শেষে দেখবেন আপনিই সেরা।

আরো পড়ুনঃ সস্তায় ভ্রমন টিপস
                       বিমানের টিকিট কেনার সেরা টিপস
                       ইন্দোনেশিয়ার বালি ভ্রমনের সম্পূর্ণ ট্যুরপ্লান
                       কেন আপনার বালিতে ভ্রমন করা উচিত?
                   

                         

Comments