সাদা পাথর, ভোলাগঞ্জঃ এক দিনের ট্যুরে ঘুরে আসুন সিলেটের ভোলাগঞ্জ, সাদাপাথর থেকে।


রাশি রাশি সাদা পাথর, তার সাথে ঝর্ণার স্বচ্ছ জল আর পাহাড় মেঘের ধাক্কাধাক্কি একসাথে দেখতে মন চায়? তাহলে এক দিনের ট্রিপে চলে যেতে পারেন সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ এর সাদা পাথরে। রাশি রাশি ঠান্ডা স্বচ্ছ জলে পা ভিজিয়ে হাটার চাইতে মজার আর কি হতে পারে। যাই হোক এবার চলে যাই মূলে। ইচ্ছা ছিল নিজের ভ্রমন কাহিনী শেয়ার করার কিন্তু এই ট্রিপে আমি গিয়েছিলাম একটি সংগঠন এর সাথে বাসে। তাই আমার ভ্রমন কাহিনী থেকে কোনো ইনফরমেশন ই পাওয়া যাবে না। তাই ভ্রমন কাহিনী হিসেবে শেয়ার না করে ইনফরমেটিভ ব্লগ হিসেবেই লিখছি।


কিভাবে যাবেন?

ঢাকা থেকে বাসে অথবা ট্রেনে যেকোনো ভাবেই যাওয়া যায়। তবে রিকমেন্ড করব ট্রেনে যাওয়ার। কারন ট্রেনও আরামদায়ক এবং খরচ খুবই কম। উপবন এক্সপ্রেস এর শোভন এর ভাড়া ২৮৫ টাকা এবং শোভন চেয়ার এর ভাড়া ৩৪০ টাকা। ৮ঃঃ৩০ এ ট্রেনে ওঠে গেলে পরদিন সকাল ৫ টায় সিলেট কদমতলী বাস স্ট্যান্ডে পৌঁছে যাবেন। রেলস্টেশন থেকে বেড়িয়ে মাত্র ১ মিনিট হাটলেই পৌঁছে যাবেন BRTC বাস কাউন্টারে। তারা ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের নৌকা ঘাট পর্যন্ত পৌঁছে দিবে। ভাড়া ৬০ টাকা। আর যদি আপনারা গ্রুপ হয়ে থাকেন তাহলে সরাসরি সিলেটের আম্বরখানা চলে যান ও একটা সিএনজি ভাড়া করতে পারেন। ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা নিবে যাওয়া আসা সহ। আবার একাও আম্বরখানা এসে সিএনজি নিতে পারেন এক্ষেত্রে ভাড়া পরবে ১৬০ টাকা। তবে আমার রিকমেন্ড রইল BRTC বাসে যাওয়া। তাদের সিটিং সার্ভিস ভালোই কিন্তু টাইমিং ভালো না।  ৭ টার বাস ৮ টায় ছাড়ে। BRTC বাসের ২ তলায় বসে অসম্ভব সুন্দর চাবাগান ঘেড়া রাস্তা দিয়ে চাবাগান দেখতে দেখতে পৌঁছে যাবেন ভোলাগঞ্জ। যাইহোক ভোলাগঞ্জ এর নৌকা ঘাট এ পৌঁছে নৌকা নিবেন। নৌকা ভাড়া ৮০০ টাকা যাওয়া আসা। এক নৌকায় ৮-৯ জন বসা যায়। একা গেলেও প্রবলেম নাই। অসংখ্য গ্রুপ পাওয়া যায়। তাদের সাথে মিলে মিশে গেলেই হলো। নৌকা আপনাকে সেখানে পৌঁছে দিয়ে ২ ঘন্টা টাইম দিবে ঘুরে দেখার জন্য। ২ ঘন্টাই যথেষ্ট।



নৌকা জার্নিটা অবশ্যই খারাপ লাগবে না। স্বচ্ছ অগভীর জলে নৌকা কিছু কিছু পরই আটকে যায়। আবার মাঝিরা ঠেলে চালিয়েও নেয়। শীতকালেই এই সমস্যাটা হয়। তবে এটা কোনো সমস্যাই না। যাইহোক জিরো পয়েন্টে পৌঁছে আপনাদের নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পারেন। সম্ভব হলে এক্সট্রা কাপড় নিয়ে যাবেন। কারন এই জল দেখে যদি জলে নামার ইচ্ছা না হয় তাহলে আপনি মানুষই নন। 😑😑 
জিরো পয়েন্টে সময় কাটিয়ে যেভাবে গিয়েছেন সেভাবেই ফিরে আসবেন। তারপর সেম ওয়ে তেই সিলেট ফিরে আসবেন। সন্ধ্যাটা সিলেটের মাজারে গিয়ে অথবা পাঁচ ভাইয়ের ডিনার খেয়ে 😋😋কাটিয়ে দিতে পারেন। আবার রাতের ট্রেনে রওয়ানা হয়ে যান ঢাকা। সকালের মধ্যেই পৌঁছে যাবেন ঢাকা।

 কিছু টিপসঃ

১/ দুপুরের খাবারটা নৌকা ঘাটেই খেয়ে নিয়ে তারপর নৌকায় উঠবেন। কারন জিরো পয়েন্টে খাবারের প্রবলেম হবে।
২/ পানির বোতল সাথে করে নিয়ে যাবেন। এবং ফেরার সময় ময়লা ফেলার স্থানে বোতল ফেলবেন। স্পটে কোনো কিছু ফেলবেন না। 
৩/ একটা ছাতা নিয়ে যাবেন। আর পারলে সানস্ক্রিন মেখে যাবেন। নয়তো রোদে চেহারা পাল্টে যাবে।

    ঘুরতে যেয়ে পদচিহ্ন ছাড়া কিছু ফেলে আসবেন না

আরো পড়ুনঃ
   

Comments