হামহাম জলপ্রপাত

ছবিঃ Steemit


হাম হাম জলপ্রপাত, মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার হাম হাম জলপ্রপাত বাংলাদেশের সবচয়ে বড় জলপ্রপাত গুলোর মধ্যে একটি। এটি একটি প্রাকৃতিক জলপ্রপাত। এখানে আসতে হলে শ্রীমঙ্গল থেকে আসা ভালো। বর্ষাকালে ২ কিমি দূর থেকেও এর গর্জন শোনা যায়। এই জলপ্রপাত এ যেতে হলে আপনাকে পারি দিতে হবে দূর্গম পাহাড়ি পথ। এই পথটি আসলেই দূর্গম। ৮ কিমি পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয়। পথের মাঝে শুধুই জঙ্গল। মাঝপথে অসুস্থ হয়ে পড়লে সাহায্য করার কেউ নেই। আর শুধুই কি তাই? মাঝপথে আপনার দেখা হবে হাজারো জোঁকের সাথে। ৭ কিমি পর শুরু হবে ঝিরি পথ দিয়ে চলা। বর্ষাকালে প্রায় বুক সমান পানি থাকে ঝিরিপথে। সেই পথ বেয়ে পাড়ি দিতে হবে আরো এক কিলোমিটার। মূলত এই কারনেই এই জলপ্রপাতটি বাংলাদেশের কিছু অসচেতন পর্যটকদের হাত থেকে বেঁচে গেছে। 

 কিভাবে যাবেন

ভালো হয় ঢাকা থেকে সরাসরি শ্রীমঙ্গল এসে সেখান থেকে সেখান থেকে হাম হাম যাওয়া। এজন্য আপনাকে প্রথমে আসতে হবে শ্রীমঙ্গলে। 
শ্রীমঙ্গল ভ্রমন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুনঃ 
তারপর শ্রীমঙ্গল থেকে সি এন জি অথবা জিপ ভাড়া করে কলাবন পাড়া যেতে হবে। মানুষ বেশি হলে জীপ ভাড়া করে যাওয়াই ভালো। ভাড়াটা সময়ের সাথে সাথে উঠানামা করে। তবে ৪-৫০০ টাকা হলেই সি এন জি সেখানে যায়। তারপর কলাবন পাড়ায় নেমে গাইড নিয়ে নিবেন। কারন গাইড ছাড়া এই ট্রেকিং করা প্রায় অসম্ভব। তারপর সেখান থেকেই শুরু হবে ট্রেকিং। হামহামে গেলে সারাদিন এটার জন্যই বরাদ্দ রাখবেন। ঐদিন আর কোনো প্লান না রাখাই ভালো। শরীর টায়ার্ড হয়ে যায়। 

কিছু টিপস

  • অবশ্যই অবশ্যই শরীর ফিট হতে হবে।
  • অন্ততপক্ষে ৬-৭ ঘন্টা ট্রেকিং করার মনমানসিকতা থাকতে হবে।
  • বুট জোতা সাথে করে নিয়ে যাবেন। গ্রিপ ভালো হতে হবে।
  • সাথে করে লবন নিয়ে যাবেন। কারন হামহামে গেলে জোকে আপনাকে ধরবেই।
  • কাপড় চোপড় হালকা পাতলা হলে ভালো হয়। এতে ঝিরিপথে দিয়ে যাওয়ার সময় কষ্ট কম হবে।
  • ভিজলে নষ্ট হয়ে যায় এমন জোতা নিবেন না। 
  • একটা ব্যাগে এক্সট্রা কিছু পোষাক আর কিছু শুকনো খাবার নিয়ে যাবেন। 
  • বর্ষাকালে গেলে জলপ্রপাতে জল পাবেন। শীতের সময় কম জল থাকে। 
  • বৃষ্টি হতে পারে এমন দিনে ট্রেকিং এ বের হবেন না। 
  • পথের মাঝখানে ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না। 
আরো পড়ুনঃ 

Comments