ক্রাবি
যারা থাইল্যান্ডে এসে একটু রিলাক্স মুডে থাকতে চান তাদের জন্য ক্রাবি একটি উপযুক্ত যায়গা। ক্রাবি এর অন্যতম প্রধান আকর্ষন হচ্ছে এর পরিবেশবান্ধব পর্যটন ও এই এলাকার সমুদ্র সৈকত গুলো। আন্দামান সাগরের কূলে এই শহর যেন এক যাদুন ছোয়া। নেই কোনো কোলাহল। নেই কোনো দূষন। সেখানে রয়েছে বিভিন্ন বোট। এই বোটে করে ঘুরে আসা যায় সমুদ্র থেকে। নীল জলরাশির ধারা যে কারোরই মন ভালো করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ছোট একটা বোটে করে ক্রাবির জলরাশির উপর দিয়ে যাওয়ার সময় হালকা শীতল হাওয়া আপনাকে স্পর্শ করবে, সামান্য ঢেউয়ের তালে চলতে চলতে দেখতে পারবেন বন্য প্রানী খাবার খোঁজে সদলবলে বের হয়েছে, চেঁচামেচি করছে। আর নৌকা চলছে খুব ধীর গতিতে ঢেউএর তালে।
ক্রাবির আর্ট লেনে রাতে দেখতে পারবেন ক্রাবির ঐতিহ্যবাহী নাচ। তাই পুরো ক্রাবিই আপনাকে ভ্রমনের স্বাদ যোগান দিয়ে যাবে সবসময়।
কিভাবে যাবেনঃ
ব্যাংকক থেকে সরাসরি বাসে বা প্লেনে করে যাওয়া যায়
ক্রাবিতে। বাস ভাড়া ১০০০ বাথের ভিতর পড়বে। আর প্লেনে করে গেলে আগে থেকে টিকেট কাটতে
পারলে ১০০০-১২০০ বাথের ভেতরই টিকেট পেয়ে যাবেন।
আর বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ব্যাংককের সরাসরি ফ্লাইট আছে। তাই আপনি সহজেই সেখানে যেতে পারবেন।
থাইল্যান্ড সম্পূর্ণ ট্যুর প্লান দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
আর বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন ব্যাংককের সরাসরি ফ্লাইট আছে। তাই আপনি সহজেই সেখানে যেতে পারবেন।
থাইল্যান্ড সম্পূর্ণ ট্যুর প্লান দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন।
কি কি দেখবেনঃ
ফি ফি আইল্যান্ডঃ ফুকেট থেকে ফি ফি আইল্যান্ডে যাওয়া গেলেও ক্রাবি থেকে এই আইল্যান্ড অনেক কাছে। তাই আপনার যদি ক্রাবি ভ্রমনেরও ইচ্ছা থাকে তাহলে ক্রাবি এসে এখান থেকে পরে ফি ফি আইল্যান্ড যেতে পারেন। এই আইল্যান্ডটাকে মাস্ট ভিজিট বলা হয়ে থাকে। কারনটা লিখে বোঝনো সম্ভব না। আপনি স্পিডবোটে যেতে পারেন ফি ফি আইল্যান্ডে । এর সুবিধা হচ্ছে আপনি ফি ফিতে যাওয়ার পথে কয়েকটি জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান দেখতে পারবেন। যার মধ্য রয়েছে , বাম্বো আইসল্যান্ড, ভাইকিং গুহা, লোহ সামাহ বে, পাইলেহ উপসাগর, মায়া বে, মাংকি সৈকত, ফি ফি ডন এবং হিন ক্লং। আপনি যদি একা ফি ফি আইল্যান্ডে ট্যুরে যান তবে স্পিডবোটে যেতে পারেন। কারণ এতে আপনার বোর লাগবে না। ক্রাবি থেকে স্পিডবোটে যাত্রা শুরু হয় ফি ফি আইল্যান্ডের উদ্দেশ্য। ফি ফি দ্বীপপুঞ্জ স্পিডবোট ট্রিপ আপনার অনেক ভালো লাগবে। ক্রাবি থেকে প্যাকেজ নিয়ে ফি ফি আইল্যান্ড ভ্রমন করাই সবথেকে বেষ্ট অপশন।
Railay Beach: এটি ক্রাবিতে অবস্থিত একটি বিচ। ক্রাবিতে মোস্ট পপুলার বিচগুলোর মধ্যে একটি। এখানে আসতে মিস করবেন না। এটাকে অনেকসময় রাই লেহ ও বলাহয়ে থাকে।
মায়া বেঃ এটি ও ফি ফি আইল্যান্ডের অন্তর্ভুক্ত একটি বিচ। এর থেকে সুন্দর বিচ আর হয় না। কিন্তু বর্তমানে এটি বন্ধ আছে ট্যুরিস্টদের জন্য। ২০২১ সাল পর্যন্ত এখানে কোনো ট্যুরিস্ট আসতে পারবে না। তবে বোটে করে মায়া বের জলে নামা যাবে। নিষেধাজ্ঞা শুধু বিচে নামা নিয়ে। মায়াবের জল অনেক স্বচ্ছ। তাই এটা স্নোরকেলিং এর জন্য আদর্শ যায়গা। ফিফি আইল্যান্ড ট্যুরের সময় এটা অন্তর্ভুক্ত করে নিবেন।
টাইগার কেভ টেম্পলঃ এটি একটি মন্দির। এটা ক্রাবিতেই অবস্থিত। হাতে সময় থাকলে দেখে নিতে পারেন।
Ko Pada: এটি ক্রাবির কাছের একটি দ্বীপ। বেশী ট্যুরিস্ট সেখানে যায় না। কিন্তু অনেক সুন্দর একটা দ্বীপ। তাই ঘুরে আসতে পারেন। অনেক সময় ফি ফি প্যাকেজ ট্যুর নিলে তারাই এইসব দ্বীপ ঘুরে দেখায়।
এ তো গেল পপুলার হাতে গোনা কয়েকটা প্লেসের নাম। কিন্তু ক্রাবিতে এতো দ্বীপ আর বিচ আছে যে তা লিখতে গেলে শেষ হবে না। আর মূলত সেগুলোর নাম লিখার দরকার ও নেই। কারন আমাদের দেশ থেকে ক্রাবিতে গেলে সবাই ফি ফি আইল্যান্ড ট্যুর প্যাকেজ নেয়। এর ভেতরই কয়েকটা বিচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। আর আলাদা ভাবে অন্যান্য দ্বীপে ঘুরতে গেলে খরচ অনেক বেশি পরে যায়। তাই এগুলোতেই ঘুরে আসতে পারেন।
কিছু টিপসঃ
- এইসব যায়গায় শুধু নিয়ম রক্ষার্তে নয়। নিজের বিবেক দিয়ে বিচার করে দয়া করে ময়লা আবর্জনা ফেলবেন না।
- ক্রাবি থেকে প্যাকেজ নেওয়ার সময় বলে দিবেন কোন কোন আইল্যান্ড ঘুরবেন। কতক্ষন থাকবেন। খাবার তারা দিবে না আপনারই কিনে খেতে হবে। এসব ভালো করে বুঝে নিবেন।
- দলে ৪ জনের মতো লোক থাকলে প্রাইভেট বোট ভাড়া করে নিতে পারেন। এতে খরচ কম পরবে। সমস্যা শুধু স্পীড বোটের থেকে স্পীড কম হবে। তবে পূরো প্রাইভেসী পাওয়া যাবে।
- ফি ফি মায়া বে বিচে এখন নামা যায় না। বোটে থেকেই যা দেখার দেখতে হবে। ২০২১ সাল পর্যন্ত মায়া বে পর্যটকদের জন্য বন্ধ।
- বোট ভ্রমনে বের হলে সাথে করে শুকনা খাবার নিয়ে যাবেন। মাঝ সমুদ্রে কোনো রেস্তোরা এখনো চালু হয়নাই।
- বোট প্যাকেজ নেওয়ার সময় সম্ভব হলে স্নোরকেলিং ও প্যাকেজের মধ্যে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
আরো পড়ুনঃ
Comments
Post a Comment